"বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।

  • Bangladesh Nagarik Shakti

    "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।

  • Bangladesh Nagarik Shakti

    "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।

  • Bangladesh Nagarik Shakti

    "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।

  • Bangladesh Nagarik Shakti

    "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।.

  • Bangladesh Nagarik Shakti

    "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" একটি রাজনৈতিক দল।.

Wednesday, October 4, 2017

প্রধান বিচারপতিরই অধিকার হরণ, আম নাগরিক কোথায় এবং কার কাছে যাবে রিট আবেদনের জন্য? !

প্রধান বিচারপতিরই অধিকার হরণ, আম নাগরিক কোথায় এবং কার কাছে যাবে রিট আবেদনের জন্য? !
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা মৌলিক নাগরিক অধিকার।

প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত ছুটির দরখাস্ত ও অসুস্থ্যতার সংবাদের বিবরণ, যদি সত্যি হয়েও থাকে, সংবিধান অনুসারে তা গোপন থাকার কথা। ব্যক্তিগত ছুটির দরখাস্ত ও অসুস্থ্যতার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ কি সংবিধান লঙ্ঘন নয়? 

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষাকরা সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার। যা পৃথিবীর সকল সংবিধান স্বীকৃত। 
সমাজে মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে একজন মানুষের যেসব অধিকার দরকার, সেগুলো মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। একটি রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এসবের মধ্য থেকে কিছু অধিকারকে মৌলিক হিসেবে ঘোষণা করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলে রাষ্ট্র প্রতিকার দিতে বাধ্য থাকে। আর এখন দেখছি রাষ্ট্রই তা হরণ করছে!!

সংক্ষেপে বলতে গেলে, মানবাধিকার মানুষের জন্মগত। আর মৌলিক অধিকার হলো আইনিভাবে স্বীকৃত।
প্রতিটি দেশের সংবিধানেই মৌলিক অধিকারের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সংবিধানের ২৬ থেকে ৪৭ (ক) অনুচ্ছেদগুলো মৌলিক অধিকার সংশ্লিষ্ট। তৃতীয় ভাগের শুরুতে অর্থাৎ ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদেই বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো আইন করা যাবে না। আর যদি করা হয় তবে তা বাতিল হয়ে যাবে। সরকার বা মন্ত্রিপরিষদ ইচ্ছা করলেই মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আইন তৈরি করে এর ব্যত্যয় ঘটাতে পারবে না।

আইনের দৃষ্টিতে সমতা 
সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বিদ্যমান আইনে নাগরিকদের কীভাবে দেখা হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, আইনের দৃষ্টিতে প্রতিটি নাগরিক সমান।

অবস্থানগত কারণে বৈষম্য 
ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বাসস্থান বা পেশাগত কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। মৌলিক এ অধিকারের বিষয়ে সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে অধিকার 
২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে সবার সমান সুযোগ আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার 
রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিকের আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার আছে উল্লেখ করে সংবিধানের ৩১ ও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না যাতে তাঁর জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পদের ক্ষতি হয়।

বিনা বিচারে আটক 
কোনো ব্যক্তিকে আটক করা নিয়ে নির্দেশনা আছে ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে। এতে বলা হয়েছে, বিনা কারণে কাউকে আটক করা যাবে না। কোনো কারণে কাউকে আটক করা হলে, সেটির কারণ জানিয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। কোনো অবস্থায় তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় হাজতে রাখা যাবে না। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পার্শ্ববর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটক ব্যক্তিকে হাজির করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

জোরপূর্বক শ্রম 
ফৌজদারি অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হলে অথবা জনগণের বৃহৎ স্বার্থে আবশ্যক না হলে কাউকে জোর করে কোনো কাজ করানো যাবে না। এ বিষয়টি বলা হয়েছে ৩৪ নম্বর অনুচ্ছেদে।

বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ 
কেউ কোনো অপরাধ করলে তার বিচার অবশ্যই ওই সময়ে প্রচলিত আইনে করতে হবে বলে ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। এক অপরাধের জন্য একাধিকবার শাস্তি দেওয়া যাবে না।
এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারের অধিকার রয়েছে। কাউকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না এবং নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না।

সমাবেশ, সংঘটন ও চলাফেরার স্বাধীনতা 
জনস্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ ছাড়া দেশের যেকোনো স্থানে অবাধ চলাফেরার, দেশত্যাগ ও পুনঃপ্রবেশের স্বাধীনতা রয়েছে নাগরিকদের। ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বিষয়গুলোর উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদগুলোতে জনস্বাস্থ্য ও জনশৃঙ্খলার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে যেকোনো সমাবেশ বা সংগঠনের অধিকার প্রতিটি নাগরিকেরই রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা 
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের মাধ্যমে যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে প্রতিটি নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা রয়েছে। ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংবাদক্ষেত্রগুলোতেও এ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

পেশা নির্বাচনের স্বাধীনতা 
যেকোনো নাগরিক আইন অনুযায়ী যেকোনো কাজকে নিজের পেশা হিসেবে বাছাই করতে পারবে বলে ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা 
প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে বলে ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, কাউকে জবরদস্তি করে কোনো ধর্ম পালনে বা পাঠদানে বাধ্য করা যাবে না।

সম্পত্তির অধিকার 
আইনের মাধ্যমে আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রতিটি নাগরিক সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর করতে পারবে বলে ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।

গৃহ ও যোগাযোগের অধিকার 
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলার স্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রতিটি নাগরিকের নিজ গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকবে। ৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বিষয়টির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নাগরিকদের চিঠিপত্র ও যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলে করণীয় 
যে কোনো কারণে মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সংবিধানের ১০২(১) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনের মাধ্যমে অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

আমাদের প্রধান বিচারপতিরই অধিকার হরণ, আম নাগরিক কোথায় এবং কার কাছে যাবে রিট আবেদনের জন্য? !

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটিতে যাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তার আবেদনটি সংবাদমাধ্যমের জন্য প্রকাশ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এখন প্রশ্ন দেখাদিয়েছে সংবিধানের কোন বিধি মোতাবেক একজন আইনজ্ঞ আইন মন্ত্রী হয়ে এস কে সিনহার মৌলিক অধিকার হরণ করলেন? ইহাতে কি আইনমন্ত্রীর শপথ ভঙ্গ হয়েছে? যদি হয় তাহলে কিহবে?
এছারা সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশের ওয়েব সাইটে ''এন্যুয়াল রিপোর্ট অফ ২০১৬'' য়ে যে স্বাক্ষর রয়েছে তার সাথে ‘’ছুটি চাহিয়া আবেদন পত্রের’’ স্বাক্ষরের মিল নাই !! দরখাস্তে বানানের ভুল। 
সংঘত কারণে দেশের নাগরিকদের উৎকণ্ঠা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
সভাপতি
বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি
Share:

Wednesday, April 19, 2017

ঘোষণা পত্র এবং গঠনতন্ত্র



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 


ঘোষণা পত্র এবং গঠনতন্ত্র




''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'' 

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০১৭

৬ বৈশাখ ১৪২৪

২১ রজব ১৪৩৮
============
ভূমিকা


বহু আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলেও, আজো আমাদের সুদীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আদর্শহীন রাজনীতি, সর্বস্তরে দুর্বৃত্তায়ন, এবং সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক অনুন্নয়ন ও তাদের প্রতি ব্যাপক বঞ্চনা আমাদেরকে বিভিন্নমুখি সংকটের আবর্তে জড়িয়ে ফেলছে। এই দুর্বিষহ অবস্থা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলেছে এবং আমাদেরকে ঠেলে দিয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। 
সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ…”। কিন্তু জনগণের এই ক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তারা বহুলাংশে তাদের মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে একদল স্বার্থন্বেষী ব্যক্তির কাছে। এ সকল ব্যক্তিরা সেজেছে প্রভু, আর নাগরিকগণ যেন তাদের আজ্ঞাবহ করুণার পাত্র। কেন্দ্রিভূত শাসন ব্যবস্থা ও এক ধরনের নির্বাচিত/ অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার যথেচ্ছাচার এর জন্য দায়ী, যা আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রমাগতভাবে দুর্বল করে ফেলছে।


গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আইনপ্রনেতাদের, অন্য কারো নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব এবং যথাযথ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিরাজমান সকল সমস্যার সমাধান হতে হবে – অন্য কোনো বিকল্প বা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নয়। তবে দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উৎসাহিত এবং তাদের ক্ষমতা দখলের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে। দুর্বল ও দুর্বৃত্তায়িত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা উগ্রবাদী শক্তির উত্থানেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
দেশে সুস্থ, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও জনকল্যাণমুখি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। রাজনীতিকে কালো টাকা ও পেশীশক্তির অধিকারী তথা দুর্বৃত্তদের কবল থেকে রক্ষা করা। সর্বোপরি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও আদর্শবান ব্যক্তিদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে তাদের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে সংবিধানে নির্দেশিত অভিষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে। আইনের শাসন, প্রশাসনের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমতা, ন্যায়পরায়ণতা, দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ প্রতিষ্ঠিত হলেই সাধারণ জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং তাদের প্রতি বঞ্চনার অবসান ঘটানো সম্ভব। আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যাশায় জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং তাদেরকে, বিশেষত নারী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। জাতির সামনে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ, তাই গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির চর্চা করা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার অব্যাহত রাখা, একইসাথে সমাজে সমতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করা। তাই আপনার অংশগ্রহণ জরুরি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় অবশ্যই আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে সক্ষম।


২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে যখন সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা, ব্রিজ ও কালভারড) নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ আর সিমেন্ট এর পরিবর্তে কাঁদা মাটি ব্যবহার শুরু হয় ঠিক তখন ''মোহাম্মদ মিজানুর রহমান'' স্ব উদ্দগে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর লক্ষে একটি নতুন দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আর সে মোতাবেক কাজ শুরু হয়। কয়েক মাস দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে ও দেশের বাহিরে অবস্থানরত শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ডাক্তার, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, অবসর প্রাপ্ত আমলা ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে আলোচানার ফল সরূপ "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" দলের আবির্ভাব। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে জনাব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এক সংক্ষিপ্ত ভাষণের মাধ্যমে "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" দল ঘোষণা করেন। দল ঘোষণার তারিখ ছিল ১লা আগস্ট,২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ রোজ শনি বার অপরাহ্ণ।
দল ঘোষণার সংক্ষিপ্ত ভাষণ পুরাপুরি আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলঃ-
প্রিয় নাগরিক বৃন্দ, 
মুসলমান ভাই-বোন-বন্ধু গুণীজন সবাইকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ সালাম, আসসালামু আলাইকুম। আর হিন্দু , বইদ্ধ্য , খ্রিস্টান ও অন্য সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমার জ্ঞান হবার পর আমার দেখা দেশের নিয়ম-নীতি, কলা-কানুন এর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা, ধারক ও বাহক, ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন সকলেই আমাকে একটি নতুন ভাবনার দ্বার প্রান্তে এনে দ্বার করিয়েছে। আর তাই আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
আজ দেশ যখন ভীষণ ২০২১ বাস্তবায়নে ব্যস্ত, উন্নয়নশীল হইতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত, যদিওবা তা কাগজেই প্রমান। বাস্তবতার সাথে তফাৎ অনেক ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ, 
আজ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে চোখ রাখতেই নজরে আশে সর্বত্র বাঁশ উন্নয়ন। মানুষের চেয়ে বেশী গুরুত্ব পায় ভিনদেশী প্রাণী। রাস্ট্র যখন প্রকৃতি ধ্বংসের মহোৎসবে নামে তখন নিজেকে ঘরে বন্দি রেখে অনেকের মত মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকা বিবেক বর্জিত দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীন মানুষই পারে। তাই আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছু কথা বলার জন্য।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
আপনারাও আমার মতো ভাবেন এবং দেখেন যা আমি ভাবি বা দেখি, কিন্তু বলা হয়না বা যায় না। সন্ত্রাস মানুষ মারা আজ মামুলিতে রূপনিয়েছে। কিন্তু আমাদের সকলের জানা এই সন্ত্রাস বর্তমান আধুনিক বিশ্বের কিছু মোড়ল রাষ্ট্রের দ্বারা তৈরি তাদেরই স্বার্থে, আর একটা বিশেষ গোষ্ঠীকে দোসারপ করে চলে মানুষ মারার মহোৎসব। রক্ষা পায়না সেখানে শিশুরাও। সকলের সময় হয়েছে কাছের এবং পাশের সবার প্রতি নজর দেবার। দিনে ২৪ ঘণ্টার ১৪৪০ মিনিটের ৮৬৪০০ সেকেন্ডের প্রতিটি মুহূর্ত থাকতে হচ্ছে ভীত সন্ত্রস্ত। নিজেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে পালন করতে হচ্ছে প্রহরীর ভুমকা। যা কিনা দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
সন্ত্রাসীর কোন জাত বা ধর্ম নাই। কোন মহামানবই এই পর্যন্ত কোন প্রমাণ বা দলিল দেখাতে সক্ষম হয়নাই যে সন্ত্রাস কোন ধর্মে স্বীকৃত। মুসলমানদের ধর্ম ইসলাম। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই কথা আজ প্রায় ১৫০০ বছর ধরে স্বকৃত।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
আপনারা জানেন যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে দেশ তত বেশী উন্নত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যখন ১৫ হাজার প্রাথামিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৩ লক্ষেরও বেশী আবেদন জমা পরে এবং ৪র্থ শ্রেণির ও ঝাড়ুদার পদে চাকুরীর জন্য যখন স্নাতক ও স্নাতক উত্তরা আবেদন করিতে বাধ্য হয়, তখনই বোঝা যায় জাতীয় শিক্ষার মান কি। যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন জরুরী, সেখানে উল্টো সহজ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে দ্রুত কাগুজে শিক্ষিত বানালেও ফলাফল উল্টো পথেই হাঁটছে। এসব তারই আলামত।এই সকল ব্যবস্থা কেন এবং কোণ প্রভুর এজেন্ডা বাস্তবায়ন তা আমাদের বোঝার জ্ঞান থাকলেও বলার স্বাধীনতা নাই।


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
দুঃখ হয় , যখন জনপ্রতিনিধিগণ প্রকাশ্যে বলে উন্নয়ন বরাদ্দ পাইতে পার্সেনটিজ দিতে হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে বাঁশ উন্নয়ন ছাড়া কিবা মিলবে জনগণের ভাগ্যে।আমার মত সকলেরই জানতে ইচ্ছে করে কি জবাব দিবেন ৩/৩০ লক্ষ বিরঙ্গনা ও শহীদদের। এই জন্য কি তাঁরা ইজ্জত আর রক্ত দিয়ে লিখেছিল বাংলাদেশ!!!


প্রিয় নাগরিক বৃন্দ,
ধরা যাবেনা, ছোঁয়া যাবে না, বালা যাবে না কথা, এই হয়েছে আমাদের গণতন্ত্রের মূল কথা।এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাববার। নতুন কিছু প্রতিষ্ঠার। নতুন ভাবে বাঁচিবার জন্য লঢ়াই করার।


তাই আপনাদের সামনে নতুনের আহবান নিয়া হাজির হয়েছি। ঘোষণা করিতেছি নতুন রাজনৈতিক দল। যার নাম “বাংলাদেশ নাগারিক শাক্তি’’ এই “বাংলাদেশ নাগারিক শাক্তি’’ র আহবানে সারা দিয়ে দেশ বাসীকে “বাংলাদেশ নাগারিক শাক্তি’’ র ছায়া তলে সমবেত হইবার আহবান জানিয়ে আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। 
আল্লাহ্‌ হাফেজ। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক। জয় হউক মানুষের। জয় হউক গণতন্ত্রের।।


মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান 
আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা 
"বাংলাদেশ নাগারিক শাক্তি"


''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি''র "গঠনতন্ত্র"
বিধিঃ১ 
ক) নামঃ- এই দলের নাম হইবে " বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" / "Bangladesh Nagarik Shakti" । ইংরেজিতে এই দলের নাম এর অনুবাদ করিলে দড়ায় "Bangladesh Citizen Power"কিন্তু
"বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" কখনো তা করা যাইবে না। ইংরেজিতে লিখতে "Bangladesh Nagarik Shakti" লিখিতে হইবে। সংক্ষেপে "বিএনএস" বা BNS বলা যাইতে পারে বা যাইবে। গঠনতন্ত্রে দল বলতে ''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'' কে বুঝাইবে।


খ) ঠিকানা:- পত্র যোগাযোগ ও অস্থায়ী কার্যালয় রোড নং- বাড়ি নং- ঢাকা- @ইমেইলঃ bangladeshnagarikshakti@gmail.com, 
ফেইচবুক পেইজঃ বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি
ফেইচবুক গ্রুপঃ Bangladesh Nagarik Shakti 
জরুরী প্রয়োজনে @ দলীয় সচিবালয় মোবাইল নাম্বারঃ ০১৫৩৫২৩৬৫৯৭


বিধিঃ২
''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি''র মূলনীতিঃ= 
১) "নিরপেক্ষ গণতন্ত্র" তথা সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, নিরপেক্ষতা, একতা, সততা, স্বচ্ছতা,ও অসাম্প্রদায়িকতা।। 
 ২)সবকিছুর উপর জাতীয় স্বার্থ "জাতীয়তাবাদ"। 
৩)মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-"যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর নাগরিকদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল ... সেই সকল আদর্শ 'বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'র মূলনীতি হইবে।" 
 ৪) জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ। 
 ৫) সকলের প্রতি সৌহার্দ্য পূর্ণ ব্যবহার "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি"র নীতি। কুরুচিপূর্ণ/অশ্রাব্য কিংবা অসংসদিয় কিংবা কারো প্রতি আক্রমণাত্বক ভাষার ব্যবহার "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'র নীতি নয়।


বিধিঃ৩
''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি''র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ- 
১) গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দেয়াসহ রাষ্ট্রের ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলাই হবে “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti” এর মূল লক্ষ্য।
২) "গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক ও মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।
৩) " দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান "আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা"।
৪) আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমতা, ন্যায়-পরায়ণতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তথা সমাজের সকল স্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন, সক্রিয়, সোচ্চার ও সংগঠিত করা।
৫) সকল ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও সমস্ত ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের নিরীক্ষক ও ‘অতন্দ্র প্রহরী’র ভূমিকা পালন করা। 
৬) নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিতকরণ। 
৭) বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন কে স্বাধীন করা সহ শিশুর অধিকার সংরক্ষণ, দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান এবং যুব সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। 
 ৮) সংবাদপত্র, টেলিভিশন সহ সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা। 
১০) বৈদেশিক নীতির ভিত্তি হবে সকলের সহিত বন্ধুত্ব। বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জাতি ও মানুষের ন্যায়সঙ্গত মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন করা।


বিধিঃ৪
ক) ''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি''র প্রতীক হইবে "কলম"। 

খ) মূলমন্ত্র হইবে "জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ"।


বিধিঃ৫
দলের পতাকাঃ- 
ক) পতাকার মাপ ও রঙ 
‘''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'' দলের পতাকা’ গাঢ় সবুজ, সাদা ও লাল রঙের সংমিশ্রণ হবে যাহা ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার নিচের অংশ লাল মাঝখানে সাদা ও উপরের অংশ সবুজ রঙের থাকিবে। 
খ) পতাকা ব্যবহারের মাপ- 
ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—
১০ বাই ৬ ফুট (৩.০ বাই ১.৮ মিটার)
৫ বাই ৩ ফুট (১.৫২ বাই ০.৯১ মিটার)
২.৫ বাই ১.৫ ফুট (৭৬০ বাই ৪৬০ মিলিমিটার)
মোটরগাড়িতে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—
১৫ বাই ৯ ইঞ্চি (৩৮০ বাই ২৩০ মিলিমিটার) (বড় গাড়ীর জন্য)
১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার) (ছোট এবং মাঝারি আকারের গাড়ীর জন্য)
আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হল— ১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার)
ব্যাখ্যা: পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট এবং ৩ টি অংশ সমান থাকিবে।


বিধিঃ৬
সদস্য পদঃ-
১) সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা-


বাংলাদেশ এর প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নাগরিক দলের সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবে। সমাজের সৎ, আদর্শবান, চিন্তাশীল ও জনকল্যাণে নিবেদিত যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti”এর সদস্য হতে পারবেন। যে কোনো প্রাথমিক সদস্য পরবর্তীতে যে কোনো স্তরের কমিটিতে পদ গ্রহণ করতে পারবেন। শুধু মাত্র নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ব্যতিত। 
২) সদস্য পদ লাভের উপায়-


নির্ধারিত ছকে সাদা কাগজে বা দলের ছাপানো ফর্ম বা দলের ওয়েব সাইটে অনলাইন এ ফর্ম পুরনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় প্রত্রের কপি ও দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ৩ কপি সদ্য তোলা ছবি প্রদান করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র নাথাকলে জন্ম নিবন্ধন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাক্ষরিত পরিচয় পত্রের মূল কপি দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ছবি সত্যায়িত সহ আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে। অনলাইনে ফর্ম পুরনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ছকে ছবি,পরিচয় পত্র ও জন্মনিবন্ধন স্কান করে আপলোড করতে হবে এবং নিকটস্থ দলীয় অফিসে আবেদনটি পৌছে দিতে হবে। স্ব স্ব এলাকার নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদ অনুমোদন করতে পারবে তবে অনুমোদনের পর্বে অবশ্যই অনলাইন ফর্ম পূরণ বা আবেদন পত্র, জাতীয় পরিচয় প্রত্র কপি ও দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ৩ কপি সদ্য তোলা ছবি সংরক্ষণ করতে হবে।জাতীয় পরিচয় পত্র নাথাকলে জন্ম নিবন্ধন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাক্ষরিত পরিচয় পত্রের মূল কপি দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ছবি সত্যায়িত সহ আবেদন পত্রের সাথে সংরক্ষণ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ অনলাইনে ফর্ম পুরনের ওয়েব থিকানা/লিঙ্ক পরবর্তীতে জানানো হইবে।
৩) সদস্য পদ লাভের অযোগ্যতা-
ক) আইনানুগ বাংলাদেশ এর নাগরিক নন এমন কেউ দলের সদস্য হইতে পারবে না। 
খ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা বিরুধী গোপন সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী সমাজ বিরোধী কোন ব্যক্তি দলের সদস্য হইতে পারবে না। 
 গ) সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি সদস্য হতে পারবেন না। 
 ৪) সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা-
ক) দলের নির্বাহী পরিষদ দলের যে কোন সদস্যের অসদাচরণ কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের করণে কিংবা দলের নীতি আদর্শের বহির্ভূত কোন কর্ম কান্ডের করণে যে কোন স্তরের সদস্যের সদস্যপদ বাতিল কিংবা সাময়িক স্থগিত কিংবা অন্য যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঙ্ঘত কারণে পূর্বের গ্রহণ কৃত যে কোণ শাস্তি প্রত্যাহার করতে পারবেন। 
 খ) কোন কারণে দলের নির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বান সম্ভব নাহলে বা দলের সভাপতি সভা আহ্বান এর প্রয়োজন আছে মনে না করলে দলের সভাপতি নিজ বিবেচনায় শাস্তিযোগ্য মনে করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা তাৎক্ষনিকভাবে গ্রহণ কিংবা পূর্বের গ্রহণ কৃত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবেন। 
গ) যদি এমন কোন ব্যবস্থা সভাপতি নিতে বাধ্য হন তবে যত শিগ্র সম্ভব নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় অনুমোদন এর জন্য পেশ করতে হবে।
ঘ) অভিযুক্ত সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য অভিযুক্ত সদস্যের হাতে কিংবা রেজিস্টারি ডাক যোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে হবে। যাহা দলের নির্বাহী পরিষদের পক্ষে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সচিব কিংবা সাংগঠনিক সম্পাদক সাক্ষরিত হইতে হবে। 
 ঙ) শাস্তি মূলক ব্যবস্থায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের সভাপতির বরাবরে আপিল আবেদন করতে পারবেন যদিবা শাস্তি মূলক ব্যবস্থা সভাপতির একক সিদ্ধান্তে গৃহীত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সভাপতি চাইলে নির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তের জন্য পেশ করতে পারেন কিংবা সভাপতি নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তবে সভাপতির সিদ্ধান্তই চুরান্ত বলে বিবেচিত হইবে। 
চ) বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti নীতি-আদর্শ রিরোধী কার্যকলাপের জন্য সদস্যপদ বাতিল করতে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন লাগবে। নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিত কাহারো সদস্য পদ বাতিল হইবে না। 
৫) সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ - 
ক) দলের যে কোন সদস্য যে কোন সময় দলের নির্বাহী পরিষদের সভাপতির বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে পদত্যাগের আবেদন পুরনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। লিখিত আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যয়ই নির্বাহী পরিষদের সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে হইবে। 
খ) দল কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য দলীয় ব্যনারে সংসদ সদস্য হিসবে সংসদীয় দলের নেতার অনুমতি ব্যতিরিকে নিজের নির্ধারিত আসন পরিবর্তন করলে কিংবা অন্য দলের সাথে জোট বাধলে কিংবা সংসদে দলীয় অবস্থানের পরিপন্থী কোন কাজ করলে তাৎক্ষনিক ভাবে ঐ সংসদ সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য করা হইবে এবং এই ধরনের পদত্যগি ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর কখনো দলের সদস্য পদ ফেরত পাইবার জন্য যোগ্য হইবে না।


বিধিঃ৭
সাংগঠনিক রূপ রেখা ও গঠন প্রণালীঃ- 
"বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" এর সাংগঠনিক কয়েকটি স্তর বা পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক জেলা পরিষদের এবং ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলা / থানা পরিষদের সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। অন্যান্য কমিটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। 
ক) ওয়ার্ড পরিষদ ও ইউনিয়ন নির্বাহী পরিষদ 
খ) পৌর ওয়ার্ড পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাহী পরিষদ 
গ) উপজেলা ও থানা নির্বাহী পরিষদ 
ঘ) জেলা নির্বাহী পরিষদ
ঙ) বিভাগ নির্বাহী পরিষদ
চ) মহানগর ওয়ার্ড পরিষদ
ছ) মহানগর থানা পরিষদ
জ) মহানগর পরিষদ


ঝ) জাতীয় পরিষদ / National Council
জাতীয় পরিষদ গঠন পদ্ধতি,দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ- জাতীয় পরিষদের সকল সদস্য গণের ক্ষমতা সমান এবং সদস্য গণ , "সদস্য জাতীয় পরিষদ" পরিচয় এ ভূষিত হইবেন শুধু মাত্র স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ব্যতিত।
১) প্রতিটি সংসদীয় আসনের একজন করে যারা দলথেকে দলীয় প্রতিক/ব্যনারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন প্রয়োজনের তাগিদে একই এলাকার একাধিক ব্যক্তি এবং শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যাবসায়ি ও বুদ্ধিজীবী গণের মধ্য হইতে জাতীয় পরিষদের সদস্য হইবেন এবং সকল জেলা, বিভাগ ও মহানগর এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ও দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি গণ জাতীয় পরিষদের এর সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবেন।জাতীয় পরিষদের সদস্যগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন স্পীকার (Speaker) এবং একজন ডেপুটি স্পীকার (Deputy Speaker) নির্বাচিত হবেন। Speaker এবং Deputy Speaker জাতীয় পরিষদের মিটিংগুলো পরিচালনা করবেন। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে অবশ্যই জাতীয় পরিষদের সদস্য হইবার পূর্বে দলের সদস্য পদ থাকিতে হইবে। সকল জেলা, বিভাগ ও মহানগর এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ও দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ব্যতিত অন্য যে কোন ব্যক্তি যেমন শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত, ব্যাবসায়ী, বুদ্ধিজীবী কিংবা সমাজের কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ পাইবার জন্য দলের সভাপতির বরাবর দলের বর্তমান সদস্য হিসাবে বিদ্যমান আছেন তার প্রমান পত্র সহ আবেদন করতে হবে। নির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন কিংবা সরাসরি সভাপতি কর্তৃক অনুমোদনের পর জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ লাভ করিবেন। জাতীয় পরিষদের সদস্য হইবার জন্য অবশ্যই সদস্যের বয়স ৩০ বছরের অধিক হইতে হইবে। 
২) সাধারন সম্পাদক নির্বাহী পরিষদের সভাপতির লিখিত পরামর্শে জাতীয় পরিষদ / National Council এর সভা আহ্বান করবেন।
৩) লিখিত ভাবে পত্র ডাক যোগে প্রেরন, দলের ওয়েব সাইটে নোটিশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইচ বুক পেইজ ও গরুপে এ নোটিশ , সদস্য গণের ইমেইলপ্রেরণ, সরাসরি ফোনে কন্ট্রাক্ট / এস এম এস এবং সংবাদ পত্রে সুস্পষ্ট ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে সম্ভব হলে বছরে অন্তত এক বার জাতীয় পরিষদের সভা আবশ্যক। অনুরূপ ভাবে সুস্পষ্ট ৫ (পাঁচ) দিনের নোটিশে জাতীয় পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করা যাবে।
৪) সভাপতির বরাবরে জাতীয় পরিষদের মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুরূপ ভাবে সুস্পষ্ট ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে জাতীয় পরিষদের "দাবী সভা" আহ্বান করা যাবে। তবে এই সভার আবেদন এবং নোটিশে দাবীর বিষয় বস্তু সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। এরূপ দাবি সভার মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ ভোট দাবীর পক্ষে না পাওয়া গেলে দাবিটি বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। 
 ৫) জাতীয় পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি সভার কোরাম গঠন করবে।


ঞ) উপদেষ্টা পরিষদ / Advisory Council
উপদেষ্টা / Advisers দলের করনীয় বিষয় নির্বাহী পরিষদ কে উপদেশ প্রদান করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তি গণ উপদেষ্টা পরিষদ এ উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়ে দেশের উন্নতির লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা প্রণয়ন করবেন। তবে অবশ্যই তাকে দলের উপদেষ্টা / Adviser পদ পাইবার জন্য দলের বর্তমান সদস্য আছেন এমন প্রমান সহ সভাপতির বরাবর আবেদন করতে হবে। নির্বাহী পরিষদ কিংবা সভাপতির সরাসরি অনুমোদনের পর উপদেষ্টা / Advisers হিসাবে পরিচিত হবেন।
ট) নির্বাহী পরিষদ / Executive Council
১) নির্বাহী পরিষদ হবে দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক কাঠামো। দলের মৌলিক নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তসমূহ নির্বাহী পরিষদ এ গৃহীত হবে। দলের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনাসহ সামগ্রীক কার্যনির্বাহের জন্য মূল উদ্যোগী ভূমিকা ও দায়-দায়িত্ব পালন করবে নির্বাহী পরিষদ। এই পরিষদ দলের মৌলিক নীতিমালা সমূহের আলোকে দল পরিচালনার জন্য কর্মকৌশল ও কর্মসূচি নির্ধারণ করবে।
২) কার্যক্রম মূল্যায়ন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে বছরে কমপক্ষে একবার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সকল সভায় কেন্দ্রীয় পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রণে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকতে পারবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti''-এর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।
৩) নির্বাহী, জাতীয়,মহানগর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি একে অপরের সাথে অনানুষ্ঠানিক, সৌহার্দ্যমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করবে। 
 ৪) মহানগর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও থানা পরিষদ কে নির্বাহী পরিষদ, ইউনিয় ও ওয়ার্ড পরিষদ কে জেলা পরিষদ অনুমোদন দেবে। অন্যান্য কমিটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।


৫) জেলা, উপজেলা,থানা ও ইউনিয়ন কমিটির সভা প্রতি ৬ মাসে ১ বার অর্থাৎ বছরে কমপক্ষে ২ বার অনুষ্ঠিত হবে।
৬) নির্বাহী পরিষদ গঠন- 
জাতীয় পরিষদের সদস্য বৃন্দের সরাসরি ভোটে নির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবে। নির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল ৩(তিন) বছর হইবে। একই ব্যক্তি বার বার নির্বাচনে কোন বাধা নাই। নির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ পরবর্তী নির্বাহী পরিষদ গঠন ও দায়ীত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বলবত থাকিবে। 
 ৭) সভাপতি / President (১জন) 
ক) ৪০ বছরের কম বয়সের কোন ব্যক্তি এবং জন্মসুত্রে বাংলাদেশ এর নাগরিক নয় এমন কেহ নির্বাহী পরিষদের সভাপতি হইতে পারবেন না। সভাপতি পদ ব্যতিত বাকি সকল পদের জন্য জাতীয় পরিষদের সদস্য হইবার যোগ্যতায় যোগ্য বলে বিবেচিত হইবেন। 
 খ) সভাপতির দায়িত্ব কর্তব্য ও ক্ষমতা - দলের প্রধান কর্ম কর্তা হিসাবে সভাপতি দলের সর্বময় কাজ নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয় করবেন এবং নির্বাহী পরিষদ, জাতীয় পরিষদ ও বিষয়ভিত্তিক পরিষদ এবং প্রয়োজনে নির্বাহী পরিষদ, জাতীয় পরিষদ কিংবা সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত সকল পরিষদ বা সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয় সাধন করবেন। প্রয়োজনে প্রোক্ত পরিষদের যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সভাপতি শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাহী পরিষদের সভাপতি হিসাবে নির্বাহী পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্যগণের দায়-দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্তব্য নিরূপণ করবেন। নির্বাহী পরিষদের সভাপতি হিসাবে প্রয়োজনে নির্বাহী পরিষদ, জাতীয় পরিষদ,বিষয়ভিত্তিক পরিষদ সহ যে কোন পরিষদ স্থগিত কিংবা বাতিল করতে পারবেন। নির্বাহী পরিষদের সভাপতি হিসাবে নির্বাহী পরিষদ এবং জাতীয় পরিষদের মিটিং এ সভাপতিত্ব করবেন কিংবা প্রয়োজনে যে কোন একজন উপ/সহ সভাপতি / Vice President কে দায়িত্ব দিবেন। সভাপতি চাইলে নির্বাহী পরিষদ কিংবা জাতীয় পরিষদের কোন পদ শুন্য হইলে তা পূরণ করতে পারবেন তবে অবশ্যই যাকে নিবেন তার দলের সদস্য পদ থাকতে হবে। 
 গ) সভাপতি অপসারণঃ- জাতীয় পরিষদের মোট সদস্যের ৭০ ভাগ সদস্যের দাবীকৃত অপসারন দাবি জাতীয় পরিষদের মোট সদস্যের ৮০ ভাগ সদস্যের ভোট যদি অনুকুলে হয় তবে সভাপতি অপসারন করা যাবে। তবে জাতীয় পরিষদের সভার একমাত্র বিষয় বস্তু সভাপতির অপসারণই হতেহবে। অপসারণের কারণ স্পষ্ট ভাবে লিখিত থাকতে হবে।


৮) উপ/সহ সভাপতি / Vice President (১০জন)
উপ/সহ সভাপতির দায়িত্ব কর্তব্য ও খমতাঃ- উপ/সহ সভাপতিগণ সভাপতি মহোদয় কে দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা করবেন এবং সভাপতি কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতির অনুপস্থিতিতে কিংবা সভাপতি যাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন তিনি ভার প্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। যে কোন কারণে সভাপতির পদ শুন্য হইলে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য জ্যেষ্ঠ উপ/সহ সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
৯) সাধারন সম্পাদক / General Secretary (১জন)
১০) যুগ্ম সচিব / Joint Secretary (১০জন)
১১) সাংগঠনিক সম্পাদক / Organizing Secretary (১ জন)
১২) যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক / Joint Orga nizing Secretary (১০ জন) 
১৩) সচিব / Secretary (১জন)


১৪) কোষাধ্যক্ষ /Treasurer (১জন)
কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ-
ক) কোষাধ্যক্ষ দলের তহবিল সংগ্রহ ও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। কোন বানিজ্যিক ব্যাংক এ দলের হিসাব খোলা হবে। সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই তিন জনের দুই জনের যুক্ত স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালনা করা যাবে। তবে সভাপতির স্বাক্ষর বাধ্যতা মূলক অবশ্যই থাকতে হবে। সাধারন সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এর যে কোন একজনের স্বাক্ষর হলেই চলবে। যদি টাকা উত্তোলনের পরিমাণ এক চেকে ১০ লক্ষের অধিক হয় তবে তিনজনের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। 
 অনিবার্য কারণে যদি কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে অক্ষম বা কোষাধ্যক্ষের পদ শুন্য হয় তবে জরুরী প্রয়োজনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব / Joint Secretary কিংবা সভাপতি যুগ্ম সচিব গণের মধ্যে যাকে ভাল মনে করেন তিনি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন যতদিন না আর একজন কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 
 খ)প্রতিবছর দলের হিসাব অডিট করে অর্থ বছর শেষে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। দলের তহবিল সদস্য ফি, মাসিক চাঁদা, দান, অনুদান, মনোনায়ন ফর্ম বিক্রির টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে দলের তহবিল সৃষ্টি হবে। 
 গ) ৯ হইতে ১৪ পর্যন্ত পদ সমূহ দলের সচিবালয় / Secretariat এর পদ হিসাবে বিবেচিত হইবে।সাধারন সম্পাদক এবং সচিবালয় এর দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বর্গ নির্বাহী পরিষদ এর সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।সচিবালয় এর সদস্যরা সারা দেশে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ১৩ এ বর্ণিত পদে দায়িত্ত প্রাপ্ত ব্যক্তি সচিব / Secretary সার্বক্ষণিক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এর খবর সভাপতির কাছে পৌছাবেন এবং নির্দেশনা গ্রহণ করবেন এবং সার্বক্ষণিক দলের দাপ্তরিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
ঘ) কোন কারণে সচিবের প্ন শুন্য বা অনুপস্থিত থাকিলে যুগ্ম সচিব গণের মধ্য হইতে সভাপতি এক জনকে দায়িত্ব প্রদান করিবেন। 
.ঙ) বছর শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিটি কমিটি বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। 
বিধিঃ৭ঃ১ 
মেয়াদ পূর্ণ হলে বার্ষিক সাধারণ সভা থেকেই সকল স্তরের কমিটি গঠিত হবে। যে কোনো সভার সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে গৃহীত হবে। 
বিধিঃ৭ঃ২ 
সকল কমিটির সাধারন সম্পাদকগণ স্ব স্ব কমিটির সভাপতির সাথে পরামর্শ ক্রমে সাত দিনের নোটিশে সভা আহ্বান করতে পারবেন। আহবায়ক কমিটির ক্ষেত্রে আহবায়ক সভা আহ্বান করতে পারবেন। সকল পর্যায়ে মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের সমন্বয় কোরাম গঠিত হবে। প্রতি তিন মাস পরপর মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি করনীয় ও পর্যালোচনার জন্য সভা আহ্বান করবে। সভার সিদ্ধান্ত সমূহের বিবরণী সভায় সদস্য উপস্থিতির স্বাক্ষর সহ উরদ্ধতন কমিটি কে অবিলম্বে প্রেরণ করতে হবে। 
 বিধিঃ৭ঃ৩ 
যে সকল ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নাই, প্রয়োজনে নির্বাহী পরিষদ সে সকল ক্ষেত্রে বিধি ও উপবিধি প্রণয়ন করতে পারবে এবং জাতীয় পরিষদের পরবর্তী সভায় অনুমোদন এর জন্য পেশ করে অনুমোদন করে নিবেন। 
 বিধিঃ৭ঃ৪ 
সকল পরিষদ/কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা= দেউলিয়া, উন্মাদ, সমাজের দুর্নীতি পরায়ন কুখ্যাত ও ১৯৭২ সালের রাস্ট্রপ্তির আদেশ নং-৮ এ দণ্ডিত কোন ব্যক্তি এবং তার সন্তান।


("বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি"র আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ ঘোষণার পরে উল্লেখিত পদে দ্বায়ীত্ত প্রাপ্ত ব্যক্তি গণ দলের স্ব স্ব দ্বায়ীত্ব পালনে সচেষ্ট হইবেন।)
বিধিঃ৮
দলের অঙ্গ সংগঠনঃ- 
অঙ্গ সংগঠন 'বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি'র মূলনীতিগুলো (গণতান্ত্রিক আচরণ, জবাবদিহিতা, জাতি ধর্ম বর্ণ নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার স্বার্থ সংরক্ষণ ইত্যাদি) মেনে চলতে হবে এবং সচিবালয় ও জাতীয় পরিষদের কাছে নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন গঠন এর পূর্বে অঙ্গ সংগঠন গঠনটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের জন্য জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব করতে হবে। জাতীয় পরিষদের অনুমোদনের পর ঐ অঙ্গ সংগঠন এর প্রকাশ ও তার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিক ভাবে নিন্ম লিখিত ১৭ টি অঙ্গ সংগঠন অনুমোদিত হিসাবে বিবেচিত হইবে। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন স্ব উদ্যোগে দেশের সর্বত্র স্ব স্ব প্রচার ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করবেন। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন স্ব স্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন এর নিজ নিজ লগো ও কার্যালয় থাকবে। মূলদলের পতাকা সকল অঙ্গ সংগঠন ব্যবহার করবে। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের গঠনতন্ত্র জাতীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হবে। শৃঙ্খলা ভংগ কিংবা অন্য যে কোন কারণে অঙ্গ সংগঠনের সদস্য কে নির্বাহী পরিষদের সভাপতি বা নির্বাহী পরিষদ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে কাজ পরিচালনার জন্য প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনকে নির্বাহী পরিষদ বা দলের সভাপতি হইতে একটি আহবায়ক কমিটির অনুমোদন নিতে হইবে।


অনুমোদিত অঙ্গ সংগঠনঃ- 
১) নাগরিক ছাত্র সঙ্ঘ 
২) নাগরিক যুব সঙ্ঘ
৩) নাগরিক নারী সঙ্ঘ
৪) নাগরিক শ্রমিক সঙ্ঘ
৫) নাগরিক কৃষক সঙ্ঘ
৬) নাগরিক সাংবাদিক সঙ্ঘ
৭) নাগরিক শিল্পপতি সঙ্ঘ 
৮) নাগরিক আইনজীবী সঙ্ঘ 
৯)নাগরিক ওলামা সঙ্ঘ
১০)নাগরিক সংস্কৃতিক সঙ্ঘ
১১) নাগরিক ব্যবসায়ী সঙ্ঘ 
১২) নাগরিক চিকিৎসক সঙ্ঘ 
১৩) নাগরিক চাকুরীজীবী সঙ্ঘ 
১৪) নাগরিক প্রকৌশলী সঙ্ঘ 
১৫) নাগরিক অনলাইন এক্টিভেটস সঙ্ঘ 
১৬) নাগরিক মৎশজিবি সঙ্ঘ 
১৭) নাগরিক আদিবাসী সঙ্ঘ 
বিধিঃ৯
১) প্রবাসে সংগঠন ঃ-
প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীগণের মধ্যে যাহারা "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" দলের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীতে বিশ্বাস করেন তারা যে সব দেশে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করেন, সে সব দেশের প্রচলিত আইনে দল প্রতিষ্ঠা / পরিচালনা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দলের নির্বাহী পরিষদ কিংবা সভাপতি কর্তৃক অনুমোদন আবশ্যক। 
২) সহযোগী সংগঠনঃ- 
 নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী যে কোনো সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ''বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti'' সহযোগী হিসাবে কাজ করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ঐ সংগঠনকে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে।


বিধিঃ১০
বিষয়ভিত্তিক পরিষদ-
দলের সভাপতি জাতীয় বা কোন বিশেষ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরিষদের সদস্যদের মধ্য হইতে কয়েকজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত বিষয় ভিত্তিক পরিষদ গঠন করতে পারেন। এ সকল বিষয় ভিত্তিক পরিষদে দলের সদস্য নন অথচ বিশেষ বিষয় / ক্ষেত্রে পারদর্শী যোগ্যতাসম্পন্ন সুদক্ষ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে বিষয় ভিত্তিক পরিষদের সদস্য হিসাবে গ্রহণ করা যাবে। তবে কোন অবস্থাতেই পরিষদের মোট সদস্যের এক তৃতীয় অংশের বেশী হইতে পারবেনা। এই ধরনের বিশেষ সদস্যগণ পরিষদের অন্য সদস্যের সমান সুবুধাদি ভোগ করবেন। বিষয় ভিত্তিক পরিষদ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ত শেষে আপনা আপনি বিষয়ভিত্তিক পরিষদের বিলুপ্তি ঘটবে।


বিধিঃ১১ 
 গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ-
জাতীয় পরিষদের যে কোন সদস্য লিখিত ভাবে নির্বাহী পরিষদের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের কাছে গঠনতন্ত্র সংশোধন এর প্রস্তাব করতে পারবেন। প্রস্তাব টি জাতীয় পরিষদের পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হবে। প্রস্তাবিত সংশোধনী যে সভায় উপস্থাপিত হবে সেই সভায় উপস্থিত সকল সদস্যকে সংশোধনী প্রস্তাবের অনুলিপি প্রদান করতে হবে। সভায় উপস্থিত সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন করলে সংশোধনী টি সংশোধনী আকারে গৃহীত হবে। জরুরী প্রয়োজনে কোন সংশোধনী প্রয়োজন পরলে নির্বাহী পরিষদের সভাপতি সংশোধন করে নিতে পারবেন, তবে পরবর্তী জাতীয় পরিষদের সভায় সংশোধনীটি উপস্থিত সদস্যের সংখ্যা গরিষ্ঠতায় অনুমোদিত হতে হবে। 
 বিধিঃ১২
তহবিলঃ- 
ক) সচেতন নাগরিকের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার চেতনা থেকেই “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti” সৃষ্টি। এই উদ্যোগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে ও অর্থায়নেই এর কার্যক্রম পরিচালিত। এ ছাড়া দলের সদস্য ফি, মাসিক চাঁদা, দান, অনুদান, মনোনায়ন ফর্ম বিক্রির সময় প্রাপ্ত টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে দলের তহবিল সৃষ্টি হবে।
খ) “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti”এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যগণকে নির্দিষ্ট হারে বার্ষিক/মাসিক সদস্য ফি প্রদান করতে হবে। “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti” এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই হবেন স্বেচ্ছাসেবী।
গ) নির্বাহী পরিষদের সদস্য গণকে মাসিক ১০০০/(এক হাজার) টাকা, জাতীয় পরিষদের সদস্যগণকে মাসিক ৫০০/( পাঁচ শত) টাকা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণকে মাসিক ৫০০/( পাঁচ শত) টাকা এবং মূল দলের ওয়ার্ড পরিষদ ও ইউনিয়ন নির্বাহী পরিষদ, পৌর ওয়ার্ড পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাহী পরিষদ, উপজেলা ও থানা নির্বাহী পরিষদ, জেলা নির্বাহী পরিষদ, বিভাগ নির্বাহী পরিষদ, মহানগর ওয়ার্ড পরিষদ, মহানগর থানা পরিষদ, মহানগর পরিষদ এর সদস্য গণকে মাসিক ১০০/ (এক শত) টাকা এবং অঙ্গ সগঠন সমূহের সকল সদস্যকে মাসিক ৫০/( পাঞ্চাশ) টাকা হারে দলের পাশ বই এর মাধ্যমে তফছিলি ব্যাংক এ দলের নির্ধারিত হিসাবে জমা করতে হবে।


বিধিঃ১৩



দলের নাম ব্যবহারের নিতিমালাঃ-
১) "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" নামে দলের সদস্য বা সদস্য নন এমন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান নিজের/ নিজেদের প্রয়োজনে এই নাম ব্যবহার করিতে পারবেনা।
২) "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" নাম ব্যহার করে কোন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশই নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে যদি না তা দলের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম হয়। 
৩) "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" নামে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ব্যতিত অন্য কেহ বিজ্ঞাপন প্রচার, অনলাইন প্রচারনা, ব্লগ কিংবা অন্য যে কোন প্রচার প্রচারনা করতে পারবেনা যদি না তা কোন দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম হয়। 
৪) "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" নামে দলের সদস্য কিংবা সদস্য নন এমন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- facebook, twitter, linkedin, instagram, pinterest, tumblr সহ যে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" "Bangladesh Nagarik Shakti" নামে কোন পেইজ বা একাউন্ট ওপেন করতে পারবে না। করিলে "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি"র নির্বাহী পরিষদ প্রচলিত আইনের সাহায্যে ব্যবহার কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। দলের অঙ্গ সংগঠন সমূহের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। 
৫) দলের সদস্য কিংবা কোন পরিষদ কিংবা কোন অঙ্গ সংগঠন বা অঙ্গ সংগঠনের সদস্য "বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি" বা এর অঙ্গ সংগঠনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- facebook, twitter, linkedin, instagram, pinterest, tumblr সহ যে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে পেইজ বা একাউন্ট পরিচালনা করতে চান তবে তাকে বা ঐ পরিষদ কে নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক আবেদনের প্রেক্ষিতে লিখিত অনুমোদন সাপেক্ষে ৩ দিনের আই টি ট্রেনিং গ্রহণ পূর্বক নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
বিধিঃ১৩ঃ১ 
জাতীয় কমিটিতে আলোচনা ও অনুমোদনের মাধ্যমে এই নীতিমালা সংশোধন করা যাবে। ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তা প্রদান করবে। 

"বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagorik Shakti" 

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি "মুহাম্মদ মিজানুর রহমান"

গঠনতন্ত্র লেখকঃ- 
স্বাক্ষর
Share:

Monday, February 27, 2017

হরতাল ! হরতাল !! হরতাল !!!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হরতাল ! হরতাল !! হরতাল !!!
বাংলাদেশের আপামর নাগরিকের পক্ষে “বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি”র পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবীসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৬ই মার্চ ২০১৭ দেশ ব্যাপী সকাল সন্ধ্যা শান্তিপূর্ন ভাবে হরতাল পালনের আহবান জানানো যাচ্ছে। 
 বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্য হ্রাস করতে হবে 
 নগরীতে প্রতি ছয় মাস পর পর সিটিং সার্ভিস এর নামে বাস ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করন ও ভাড়া কমাতে হবে 
 ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য হাফ পাশ বাধ্যতা মুলক করতে হবে
 নিরাপদ সড়ক ব্যাবস্থা ও অফিস সময় মহিলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে
 সকল পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাস বন্ধ করতে হবে
 রামপাল চুক্তি বাতিল করতে হবে
নোট- এম্বুলেন্স, ঔষধের দোকান, ও খাবার হোটেল হরতালের আওতা মুক্ত থাকবে।

www.facebook.com/BangladeshNagarikShakti
Share:

Monday, October 10, 2016

ধর্ম যার যার উৎসব ও তাঁর তাঁর

"ধর্ম যার যার উৎসব ও তাঁর তাঁর "
সকল ধর্মের লোকই তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করুক এটাই সবার কাম্য হোক।@ Mohammad Mizanur Rahman / মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
facebook.com/MohammadMizanurRahmanBD প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি / Founder & president বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti
facebook.com/MohammadMizanurRahmanBNS

১৭৫৭ সাল থেকে চলে আশা সনাতন ধর্মের শারদীয় দুর্গোৎসবে বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti র পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা।

লোভ আর ভোগ চাহে যারা, নাই তাদের ধর্ম জাতি
তাহাদের শুধু এক নাম আছে, রাক্ষস বলে খ্যাতি
হউক হিন্দু হোক ক্রীশ্চান হোক সে মুসলমান
ক্ষমা নাই তার, যে আনে তাহার ধারায় অকল্যান।
মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।
মুসলিম যার নয়নমনি হিন্দু তাহার প্রান।
এক যে আকাশ মায়ের কোলে
সব রবি শশী দলে
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ীর তান।
মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান ।
মুসলিম তার নয়ন-মনি, হিন্দু তাহার প্রাণ ।।
এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে,
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ীর টান ।।
এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
এক সে মায়ের বক্ষে ফলে এক ফুল ও ফল ।
এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মশানে ঠাঁই,
মোরা এক ভাষাতে মারে ডাকি, এক সুরে গাই গান ।।
চিনতে নেরে আঁধার রাতে করি মোরা হানাহানি,
সকাল হ'লে হবে রে ভাই ভায়ে ভায়ে জানাজানি ।
কাঁদব তখন গলা ধ'রে,চাইব ক্ষমা পরস্পরে,
হাসবে সেদিন গরব ভরে এই হিন্দুস্থান ।।@কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি / Bangladesh Nagarik Shakti
facebook.com/BangladeshNagarikShakti 
Share:

Social Counter

Social Counter

Blog Archive

বাংলাদেশ নাগরিক শক্তি. Powered by Blogger.

Text

Contact

  • Bangladesh Nagorik Shakti

Followers

Blog Archive